পোস্টমর্টেম আর জীবন ছিল অনুপম
[এবার একটু ইচ্ছে হল ফর্ম নিয়ে নাড়াচাড়া করার। অবশ্য এই ঘাবড়ে যাওয়া প্রয়াসকে আমার গুরু শমিত রায়-এর অনুপ্রেরণা বলা যায়।]
সিদ্ধান্তহীনতাঃ এমনভাবে কোনো লেখা শুরু করার অর্থ দু'রকম -- আমার হাতে লেখা নেই, হাত খেলিয়ে তাস আনার নামে তাসা মারাচ্ছি অথবা আমার মনের মানুষ আছে বনে... তা যাবি তো যা বনেই গেলাম। আপনাদের বাড়িতে বিল্লীদের তবিয়ত কেমন আছে? এটাও কিন্তু গুরুর কাছে শেখা বালখিল্যতার নামে সিরিয়াস কথা বলো। সত্যি আমায় ভালবাসবেন? আপনাদের বিনোদনের সব সুরায় ভাগ দেব...
কিন্তু তারা উচ্চঘরঃ দর্শন ব'লে কিছু রইলো না এ জীবনে। একথা বলার পর ডানা মেলতে চাইলেন তিনি। কিন্তু বারান্দার বাইরে অভিকর্ষ কাজ করে বোধহয় ওই বাড়িতে। তাই আপেলের মতো টুপ ক'রে খসে পড়লেন তিনি। চুলে বালি আর ধুলো লেগে গেল। নাকের ডানদিকটা একটু বেশি অনুভূতিপ্রবণ ব'লে একটা ক্ষীণ ধারা সেখানে রইলো। পুলিশের লোকজন অবশ্য সেটা মুছিয়ে দিল। কোলের ওপর মাথাটা নিয়ে এক কনস্টেবল বলল - 'পিজ্জা খাবেন? বলব? শস্তায় জীবন বাঁচত সবার।' চোয়াল ফাঁক ক'রে হাসলাম।
ফ্ল্যাশব্যাকের নাম বাবাজীঃ কোত্থেকে শুরু ক'রি? উমমম! একটা ভাই ছিল। সে পাহারায় থাকত। না। দাঁড়াও ওটা না... আচ্ছা সেই এন্টারপ্রাইজ গঠনের গল্পটা বলি। একজন লোক এক সকালে ভাবলো প্রেমে পড়বে এবং বিশ্বপ্রেমে ভেসে যাওয়ার ফর্ম ভরলো এক রথ কোম্পানীর অফিসে। তারপর রথের চাকা মাটি থেকে তোলার কাজ (যেটা তার ফেবারিট টি-শার্টের সংজ্ঞা) ভক্তিভরে করতে থাকল। বাড়িতে জানল সফটওয়্যার বহুজাতিক -- দুনিয়াজোড়া ভালোবাসাবাসির মোমচক্র।
অতিশোয়াক্তিঃ (আচ্ছা আর বোর করব না।) লোকটার একটা বৌ ছিল। তার ফোটো কিউবিকলে থাকত টেবিলের ওপর।
==============================================